১
(১) আয়াতুল কুরসী (১ বার)। (সূরা বাক্বারার, আয়াত; ২৫৫)
(২) ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ (৩ বার(। ক্বুল আউ-যু বিরব্বিল ফালাক্ব (৩ বার(।
ক্বুল আউযু বিরব্বিন্না-স (৩বার)।
لا إله إلا الله وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ .
(৩) লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া
আলা-কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর। (১ বার, ১০ বার বা ১০০ বার( ।
অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং যাবতীয় প্রশংসার অধিকারীও তিনি, তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান”।
سُبْحَانَ اللهِ وَ َبِحَمْدِهِ
(৪) সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহি। (১০০ বার)
অর্থ: “প্রশংসা সহকারে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি”।
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْئٌ فِى الأَرْضِ وَ لاَ فِى السَّمَاءِ وَ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ .
(৫) বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-য়াযুররু মা‘আসমিহী শাইউং ফিল আরযি ওয়ালা-ফিস্ সামা-য়ি ওয়াহুওয়াস্ সামীউল
আলীম। (৩ বার)
অর্থ: “শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান এবং যমীনের কোন বস্তুই কোন ক্ষতি করতে পারবে না, তিনি মহাশ্রোতা, মহাজ্ঞানী”।
أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ ما خَلَقَ .
(৬) আ’ঊ-যু বিকালিমা-তিল্লাহিত্ তা-মমা-তি মিং শাররি মা-খলাক্ব। (৩ বার)
অর্থ: “আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে”।
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّ بِالإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ نَّبِيًّا وَّ رَسُوْلا .
(৭) রযীতু বিল্লা-হি রব্বা-, ওয়াবিল ইসলা-মি দী-না- ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রসূলা- (৩ বার)।
অর্থ: “আমি সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করেছি আল্লাহকে প্রভূ হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) নবী ও রসূল হিসেবে”।
حَسْبِىَ اللهُ لا إِلهَ إِلا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ .
(৮) হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রব্বুল আরশিল আযীম। (৭ বার)
অর্থ: “আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি”।
أصْبَحْنَا عَلى فِطْرَةِ الإِسْلامِ وَ عَلى كَلِمَةِ الإِخْلاصِ وَ عَلى دِيْنِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَّ عَلى مِلَّةِ أَبِيْنَا إِبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا
وَّ مَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ .
(৯) আসবাহনা-‘আলা-ফিৎরতিল্ ইসলা-ম, ওয়া ‘আলা-কালিমাতিল ইখলা-সি, ওয়া ‘আলা-দীনি নাবিইয়িনা-মুহাম্মাদ,
ওয়া ‘আলা-মিল্লাতি আবীনা- ইবর-হীমা হানী-ফাম্ মুসলিমা-ওয়ামা-কা-না মিনাল্ মুশরিকীন।
২
অর্থ: “সকাল করেছি ইসলামের ফিৎরাতের উপর, একনিষ্ঠ বাণীর উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর দ্বীনের
উপর এবং আমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাতের উপর তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম এবং তিনি মুশরিকদের
অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।”
সন্ধ্যার সময় বলবে : আমসাইনা-আলা-ফিৎরাতিল্ ইসলা-ম, শেষ পর্যন্ত।
أَصْبَحْنَا وَ أَصْبَحَ الْمُلْكُ للهِ وَ الْحَمْدُ للهِ لا إِلهَ إِلا اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَه لَه ُالْمُلْكُ وَ لَه الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ .
رَبِّ أَسْأَ لُكَ خَيْرَ مَا فَىْ هذَا الْيَوْمِ وَ خَيْرَ مَا بَعْدَهُ ، وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِىْ هذَا الْيَوْمِ وَ شَرِّ مَا بَعْدَه ، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ
الْكَسَلِ وَ سُوْءِ الْكِبَرِ ، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِى النَّارِ ، وَ عَذَابٍ فِى الْقَبْرِ .
(১০) আসবাহনা- ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লা-হ, ওয়াল হামদু লিল্লা-হ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহ্,
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর, রব্বি আস্ আলুকা খইরা মা- ফি- হাযাল য়াউমি ওয়া খইরা মা বা’দাহু, ওয়া আঊযু বিকা মিং শাররি মা-ফি- হাযাল য়াউমি ওয়া মিন শাররি মা- বা’দাহু, রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূ-ইল কিবারি, রব্বি আঊযু বিকা মিন আযাবিং ফিন্না-র, ওয়া আযাবিং ফিল ক্বব্র।
অর্থ: “আমরা সকাল করেছি এমন অবস্থায় যে, রাজত্ব একক ভাবে আল্লাহর জন্য, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই অধিকারে এবং সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে প্রভু! আজকের দিন এবং পরবর্তী দিনের মঙ্গল তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে আজকের দিন এবং পরবর্তী দিনের অমঙ্গল থেকে। হে প্রভু!ূ আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে অলসতা থেকে এবং অধিক বয়সের অনিষ্টতা থেকে। হে প্রভু! আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে দোযখের শাস্তি এবং ক্ববরের আযাব থকে।
সন্ধ্যার সময় বলবে: আমসাইনা- ওয়া আমসাল মুলকু......... রব্বি আস্ আলুকা খইরা মা- ফি- হাযিহিল লাইলাতি ওয়া খইরা মা- বা’দাহা, ওয়া আঊযু বিকা মিং শাররি মা-ফি- হাযিল লাইলাতি ওয়া শাররি মা- বা’দাহা.........শেষ পর্যন্ত।
بِكَ أَصْبَحْنَا وَ بِكَ أَمْسَيْنَا وَ بِكَ نَحْيَا وَ بِكَ نَمُوْتُ وَ إِلَيْكَ النُّشُوْرُ . اَللّهُمَّ
(১১) আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহনা-ওয়া বিকা আমসাইনা-ওয়া বিকা নাহ্য়া ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার হুকুমে সকালে উপনীত হলাম এবং তোমার হুকুমে সন্ধ্যা উপনীত হলাম । তোমারাই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি এবং তোমারাই হুকুমে আমরা মৃত্যুবরণ করব। আর তোমার সমীপেই আমরা পুনরুত্থিত হব।
সন্ধার সময় বলবে: অল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা- ওয়া বিকা আসবাহনা- ওয়া ........ শেষ পর্যন্ত।
اَللّهُمَّ إنِّيْ أصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيْعَ خَلْقِكَ بِأنَّكَ أنْتَ اللهُ لا إله إلا أنتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ وَأنَّ محمداً عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ.
(১২) আল্লাহুম্মা ইন্নী আসবাহতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা আরশিকা, ওয়া মালা-ইকাতাকা ওয়া জামীআ-খলক্বিকা, বি’আন্নাকা আনতাল্লা-হু, লা-ইলা-হা, ইল্লা- আংতা,ওয়াহদাকা লা- শারীকা লাক, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রসূলুক। আবদুকা ওয়া রাসূলুকা। (১ , ২ , ৩ বা ৪ বার)
অর্থ: হে প্রভু! নিশ্চয় আমি প্রভাত করেছি, আমি তোমাকে, তোমার আরশ বহণকারীগণকে, তোমার ফেরেস্তাগণকে ও
তোমার সকল সৃষ্টজীবকে সাক্ষী রাখছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। তুমি একক, তোমার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার বান্দা ও রসূল।
সন্ধ্যার সময় বলবে: আল্লাহুম্মা ইন্নী আমসাইতু (বাকী অংশ পুরোটা(
اَللّهُمَّ ما أصْبَحَ بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أوْ بِأحَدٍ مِّنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ.
৩
(১৩) আল্লাহুম্মা মাÑআসবাহা বী মিন নি’মাতিন আও বি আহাদিম মিন খলক্বিকা ফামিনকা ওয়াহদাকা লা-শারীকা লাক্,
ফালাকাল হামদু ওয়া লাকাশ শুকরু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার সাথে যে নেয়ামত সকালে উপনিত হয়েছে বা তোমার সৃষ্টি জগতের কারো সাথে, তা সবই একক ভাবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার কোন শরীক নেই। সুতরাং কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা মাত্রই তোমার জন।্য
সন্ধ্যার সময় বলবেঃ আল্লাহুম্ম মা-আমসা বী মিন নি’মাতিন (বাকী অংশ পুরাটা(
ياَ حَيُّ ياَ قَيُّومُ بِكَ أسْتَغِيْثُ فَأصْلِحْ لِيْ شَأنِيْ وَلاَ تَكِلْنِيْ إلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ.
(১৪) ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিকা আসতাগীছ্, ফা আসলিহ লী শা’নী ওয়ালা তাকিলনী ইলা-নাফসী ত্বরফাতা আইন।
অর্থ: হে চিরঞ্জিব, চিরস্থায়ী! তোমার কাছে আমি সাহায্য প্রর্থনা করছি, সুতরাং আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে
দাও এবং এক পলকের জন্য হলেও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিও না।
اَللّهُمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ لا إله إلا أنْتَ
(১৫) আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী বাদানী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী সাময়ী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী বাছারী, লা-ইলা-হা ইল্লা-আন্তা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ,আমার শরীরে ,কর্ণে ও চোখে নিরাপত্তা দান কর। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই। (৩ বার(
اَللّهُمَّ إنِّيْ أعُوذُ بِكَ مِنَ الكُفْرِ والْفَقْرِ وأعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لا إله إلا أنتَ
(১৬) আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল কুফ্রী ওয়াল ফাক্বরি ওয়া আঊযুবিকা মিন আযাবিল কবরী, লা-ইলা-হা ইলআন্তা-।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কুফুরী ও দারিদ্রতা থেকে এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি ক্ববরের
আযাব থেকে। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই। (৩ বার)
اَللّهُمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العاَفِيةَ فِيْ الدُّنْياَ والآخِرَةِ، اللهمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العَفْوَ والعاَفِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ ودُنْيَايَ وَأهْلِيْ وماَلِيْ
اللهمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وآمِنْ رَوْعاَتِيْ ، اللهمَّ احْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنَ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ ، وَعَنْ يَمِيْنِيْ ، وعَنْ شِماَلِيْ ، وَمِنْ فَوْقِيْ
، وَأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ اُغْتاَلَ مِنْ تَحْتِيْ
(১৭) আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আলুকাল আ-ফিয়াতা ফিদ্ দু›ইয়া ওয়াল আ-খিরাহ,আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আলুকাল্ আফওয়া
ওয়াল্ আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দু›ইয়া ইয়া, ওয়া আহলী ওয়া মা-লী,আল্লা-হুম্মাস্ তুর আওরা-তী ওয়া আ-মিন রওআ-তী,আল্লাাহুম্মাহ্ ফাযনী মিম্ বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খলফী, ওয়া আন ইয়ামীনী, ওয়া আন শিমা-লী, ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আঊযু বি আযামাতিকা আন উগতালা মিন তাহ্তী
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমি প্রার্থনা করছি তামার কাছে ক্ষমার এবং আমার দ্বীন , দুনিয়া, পরিবার-পরিজন এবং স¤পদের নিরাপত্তা। হে আল্লাহ আমার গোপন বিষয় সমূহকে ঢেকে রাখ এবং আমাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপত্তা দান কর । হে আল্লাহ তুমি আমাকে হেফাযত কর আমার সম্মুখ থেকে, পিছন থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকে এবং উপর দিক থেকে। আর আমি ধ্বসের অতল গহববে নিমজ্জিত হওয়া থেকে তোমার মহাত্ম্যর অসীলায় পরিত্রান চাচছি।
اَللّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأرْضِ، عاَلِمَ الغَيْبِ وَالشَّهاَدَةِ، ربَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيْكَهُ، اَشْهَدُ أنْ لاإله إلا أنْتَ، أعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ
نَفْسِيْ، وَشَرِّ الشَّيْطاَنِ وَشِرْكِهِ، وأنْ أقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِيْ سُوْءً، أوْ أجُرُّهُ إلَى مُسْلِمٍ.
(১৮) আল্লা-হুম্মা ফা-তিরাস্ সামা-ওয়াতি ওয়াল্ আরযি,আ-লিমাল্ গাইবি ওয়াশ্ শাহা-দাহ, রব্বা কুল্লি শাইয়িন ওয়া মালীকাহ্।
আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা,আঊযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়া শাররিশ শাইত্বনি ওয়া র্শিকিহ্। ওয়া আন আক্ব তারিফা আলা- নাফসী সূআন্ আও আর্জুরুহু ইলা- মুসলিম।
৪
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আসমান-যমীনের সৃষ্টি কর্তা, তুমি গোপন-প্রকাশ্য সবকিছুই জান। তুমি সকল বস্তুর প্রভূ এবং সব কিছুর মালিক, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তান ও তার শিরকের অনিষ্ট থেকে এবং আশ্রয় কামনা করছি নিজের
উপর অন্যায় করা থেকে বা সে অন্যায় কোন মুসলিমের উপর চাপিয়ে দেয়া থেকে।
اَللّهُمَّ إنَّيْ أسْأَلُكَ عِلْماً ناَفِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
(১৯) আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইল্মানা-ফিআ- ওয়া রিয্ কান ত্বইয়িবা ওয়া আমালান মুতা ক্বাব্বালা-।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি উপকারী বিদ্যা, পবিত্র জীবিকা এবং মাক্ববূল (গ্রহণীয়)
আমলের।
اَللّهُمَّ أنْتَ رَبِّيْ لا إله إلا أنتَ، خَلَقْتَنِيْ وَأناَ عَبْدُكَ، وأناَ على عَهْدِكَ، وَوَعْدِكَ ماَ اسْتَطَعْتُ، أعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ
ماصَنَعْتُ، أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوْءُ بِذَنْبِيْ، فاَغْفِرْ لِيْ فَإنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إلاَّ أنْتَ
( ২০) আল্লাহুম্মা অংতা রব্বী লা-ইলা-হা ইল্লা- আন্তা, খলাক্ব তানী, ওয়া আনা আব্দুকা, ওয়া আনা আলা- আহ্দিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্ব’তু, আঊযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু,আবূউ লাকা বি নি’মাতিকা আ’লাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী,ফাগ্ফিরলী ফাইন্নাহু লা- য়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আংতা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু-প্রতিপালক, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো এবং আমি তোমার বান্দা। আমি সাধ্যানুসারে তোমার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর কায়েম রয়েছি। আমার কৃত কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি, আমার প্রতি তোমার নেয়ামত স্বীকার করছি এবং তোমার দরবারে আমার পাপকর্মেরও স্বীকারোক্তি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমায় ক্ষমা কর, কেননা তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।
اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى محمدٍ وَعَلَى آلِ مُحمدٍ كَماَ صَلَّيْتَ على إبْراَهِيْمَ وَ على آلِ إبراهيمَ إنَّكَ حَميدٌ مجيدٌ
(২১) আল্লাহুম্মা সল্লি আলা- মুহাম্মাদিঁও ওয়া আলা- আ-লি মুহাম্মাদ, কামা- সল্লাইতা আলা- ইবরা-হীমা ওয়া আলা-
আ-লি ইবরা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজী।দ- (দশ বার(
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি রহমত নাযিল কর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবার বর্গের উপর,
যেমন তুমি রহমত নাযিল করেছো ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিবার বর্গের উপর, নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও
সম্মানিত।
(১) আয়াতুল কুরসী (১ বার)। (সূরা বাক্বারার, আয়াত; ২৫৫)
(২) ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ (৩ বার(। ক্বুল আউ-যু বিরব্বিল ফালাক্ব (৩ বার(।
ক্বুল আউযু বিরব্বিন্না-স (৩বার)।
لا إله إلا الله وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ .
(৩) লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া
আলা-কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর। (১ বার, ১০ বার বা ১০০ বার( ।
অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং যাবতীয় প্রশংসার অধিকারীও তিনি, তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান”।
سُبْحَانَ اللهِ وَ َبِحَمْدِهِ
(৪) সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহি। (১০০ বার)
অর্থ: “প্রশংসা সহকারে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি”।
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْئٌ فِى الأَرْضِ وَ لاَ فِى السَّمَاءِ وَ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ .
(৫) বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-য়াযুররু মা‘আসমিহী শাইউং ফিল আরযি ওয়ালা-ফিস্ সামা-য়ি ওয়াহুওয়াস্ সামীউল
আলীম। (৩ বার)
অর্থ: “শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান এবং যমীনের কোন বস্তুই কোন ক্ষতি করতে পারবে না, তিনি মহাশ্রোতা, মহাজ্ঞানী”।
أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ ما خَلَقَ .
(৬) আ’ঊ-যু বিকালিমা-তিল্লাহিত্ তা-মমা-তি মিং শাররি মা-খলাক্ব। (৩ বার)
অর্থ: “আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে”।
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّ بِالإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ نَّبِيًّا وَّ رَسُوْلا .
(৭) রযীতু বিল্লা-হি রব্বা-, ওয়াবিল ইসলা-মি দী-না- ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রসূলা- (৩ বার)।
অর্থ: “আমি সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করেছি আল্লাহকে প্রভূ হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) নবী ও রসূল হিসেবে”।
حَسْبِىَ اللهُ لا إِلهَ إِلا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ .
(৮) হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রব্বুল আরশিল আযীম। (৭ বার)
অর্থ: “আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি”।
أصْبَحْنَا عَلى فِطْرَةِ الإِسْلامِ وَ عَلى كَلِمَةِ الإِخْلاصِ وَ عَلى دِيْنِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَّ عَلى مِلَّةِ أَبِيْنَا إِبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا
وَّ مَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ .
(৯) আসবাহনা-‘আলা-ফিৎরতিল্ ইসলা-ম, ওয়া ‘আলা-কালিমাতিল ইখলা-সি, ওয়া ‘আলা-দীনি নাবিইয়িনা-মুহাম্মাদ,
ওয়া ‘আলা-মিল্লাতি আবীনা- ইবর-হীমা হানী-ফাম্ মুসলিমা-ওয়ামা-কা-না মিনাল্ মুশরিকীন।
২
অর্থ: “সকাল করেছি ইসলামের ফিৎরাতের উপর, একনিষ্ঠ বাণীর উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর দ্বীনের
উপর এবং আমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাতের উপর তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম এবং তিনি মুশরিকদের
অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।”
সন্ধ্যার সময় বলবে : আমসাইনা-আলা-ফিৎরাতিল্ ইসলা-ম, শেষ পর্যন্ত।
أَصْبَحْنَا وَ أَصْبَحَ الْمُلْكُ للهِ وَ الْحَمْدُ للهِ لا إِلهَ إِلا اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَه لَه ُالْمُلْكُ وَ لَه الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ .
رَبِّ أَسْأَ لُكَ خَيْرَ مَا فَىْ هذَا الْيَوْمِ وَ خَيْرَ مَا بَعْدَهُ ، وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِىْ هذَا الْيَوْمِ وَ شَرِّ مَا بَعْدَه ، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ
الْكَسَلِ وَ سُوْءِ الْكِبَرِ ، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِى النَّارِ ، وَ عَذَابٍ فِى الْقَبْرِ .
(১০) আসবাহনা- ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লা-হ, ওয়াল হামদু লিল্লা-হ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহ্,
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর, রব্বি আস্ আলুকা খইরা মা- ফি- হাযাল য়াউমি ওয়া খইরা মা বা’দাহু, ওয়া আঊযু বিকা মিং শাররি মা-ফি- হাযাল য়াউমি ওয়া মিন শাররি মা- বা’দাহু, রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূ-ইল কিবারি, রব্বি আঊযু বিকা মিন আযাবিং ফিন্না-র, ওয়া আযাবিং ফিল ক্বব্র।
অর্থ: “আমরা সকাল করেছি এমন অবস্থায় যে, রাজত্ব একক ভাবে আল্লাহর জন্য, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই অধিকারে এবং সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে প্রভু! আজকের দিন এবং পরবর্তী দিনের মঙ্গল তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে আজকের দিন এবং পরবর্তী দিনের অমঙ্গল থেকে। হে প্রভু!ূ আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে অলসতা থেকে এবং অধিক বয়সের অনিষ্টতা থেকে। হে প্রভু! আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে দোযখের শাস্তি এবং ক্ববরের আযাব থকে।
সন্ধ্যার সময় বলবে: আমসাইনা- ওয়া আমসাল মুলকু......... রব্বি আস্ আলুকা খইরা মা- ফি- হাযিহিল লাইলাতি ওয়া খইরা মা- বা’দাহা, ওয়া আঊযু বিকা মিং শাররি মা-ফি- হাযিল লাইলাতি ওয়া শাররি মা- বা’দাহা.........শেষ পর্যন্ত।
بِكَ أَصْبَحْنَا وَ بِكَ أَمْسَيْنَا وَ بِكَ نَحْيَا وَ بِكَ نَمُوْتُ وَ إِلَيْكَ النُّشُوْرُ . اَللّهُمَّ
(১১) আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহনা-ওয়া বিকা আমসাইনা-ওয়া বিকা নাহ্য়া ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার হুকুমে সকালে উপনীত হলাম এবং তোমার হুকুমে সন্ধ্যা উপনীত হলাম । তোমারাই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি এবং তোমারাই হুকুমে আমরা মৃত্যুবরণ করব। আর তোমার সমীপেই আমরা পুনরুত্থিত হব।
সন্ধার সময় বলবে: অল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা- ওয়া বিকা আসবাহনা- ওয়া ........ শেষ পর্যন্ত।
اَللّهُمَّ إنِّيْ أصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيْعَ خَلْقِكَ بِأنَّكَ أنْتَ اللهُ لا إله إلا أنتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ وَأنَّ محمداً عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ.
(১২) আল্লাহুম্মা ইন্নী আসবাহতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা আরশিকা, ওয়া মালা-ইকাতাকা ওয়া জামীআ-খলক্বিকা, বি’আন্নাকা আনতাল্লা-হু, লা-ইলা-হা, ইল্লা- আংতা,ওয়াহদাকা লা- শারীকা লাক, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রসূলুক। আবদুকা ওয়া রাসূলুকা। (১ , ২ , ৩ বা ৪ বার)
অর্থ: হে প্রভু! নিশ্চয় আমি প্রভাত করেছি, আমি তোমাকে, তোমার আরশ বহণকারীগণকে, তোমার ফেরেস্তাগণকে ও
তোমার সকল সৃষ্টজীবকে সাক্ষী রাখছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। তুমি একক, তোমার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার বান্দা ও রসূল।
সন্ধ্যার সময় বলবে: আল্লাহুম্মা ইন্নী আমসাইতু (বাকী অংশ পুরোটা(
اَللّهُمَّ ما أصْبَحَ بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أوْ بِأحَدٍ مِّنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ.
৩
(১৩) আল্লাহুম্মা মাÑআসবাহা বী মিন নি’মাতিন আও বি আহাদিম মিন খলক্বিকা ফামিনকা ওয়াহদাকা লা-শারীকা লাক্,
ফালাকাল হামদু ওয়া লাকাশ শুকরু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার সাথে যে নেয়ামত সকালে উপনিত হয়েছে বা তোমার সৃষ্টি জগতের কারো সাথে, তা সবই একক ভাবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার কোন শরীক নেই। সুতরাং কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা মাত্রই তোমার জন।্য
সন্ধ্যার সময় বলবেঃ আল্লাহুম্ম মা-আমসা বী মিন নি’মাতিন (বাকী অংশ পুরাটা(
ياَ حَيُّ ياَ قَيُّومُ بِكَ أسْتَغِيْثُ فَأصْلِحْ لِيْ شَأنِيْ وَلاَ تَكِلْنِيْ إلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ.
(১৪) ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিকা আসতাগীছ্, ফা আসলিহ লী শা’নী ওয়ালা তাকিলনী ইলা-নাফসী ত্বরফাতা আইন।
অর্থ: হে চিরঞ্জিব, চিরস্থায়ী! তোমার কাছে আমি সাহায্য প্রর্থনা করছি, সুতরাং আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে
দাও এবং এক পলকের জন্য হলেও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিও না।
اَللّهُمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ لا إله إلا أنْتَ
(১৫) আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী বাদানী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী সাময়ী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী বাছারী, লা-ইলা-হা ইল্লা-আন্তা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ,আমার শরীরে ,কর্ণে ও চোখে নিরাপত্তা দান কর। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই। (৩ বার(
اَللّهُمَّ إنِّيْ أعُوذُ بِكَ مِنَ الكُفْرِ والْفَقْرِ وأعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لا إله إلا أنتَ
(১৬) আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল কুফ্রী ওয়াল ফাক্বরি ওয়া আঊযুবিকা মিন আযাবিল কবরী, লা-ইলা-হা ইলআন্তা-।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কুফুরী ও দারিদ্রতা থেকে এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি ক্ববরের
আযাব থেকে। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই। (৩ বার)
اَللّهُمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العاَفِيةَ فِيْ الدُّنْياَ والآخِرَةِ، اللهمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العَفْوَ والعاَفِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ ودُنْيَايَ وَأهْلِيْ وماَلِيْ
اللهمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وآمِنْ رَوْعاَتِيْ ، اللهمَّ احْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنَ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ ، وَعَنْ يَمِيْنِيْ ، وعَنْ شِماَلِيْ ، وَمِنْ فَوْقِيْ
، وَأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ اُغْتاَلَ مِنْ تَحْتِيْ
(১৭) আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আলুকাল আ-ফিয়াতা ফিদ্ দু›ইয়া ওয়াল আ-খিরাহ,আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আলুকাল্ আফওয়া
ওয়াল্ আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দু›ইয়া ইয়া, ওয়া আহলী ওয়া মা-লী,আল্লা-হুম্মাস্ তুর আওরা-তী ওয়া আ-মিন রওআ-তী,আল্লাাহুম্মাহ্ ফাযনী মিম্ বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খলফী, ওয়া আন ইয়ামীনী, ওয়া আন শিমা-লী, ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আঊযু বি আযামাতিকা আন উগতালা মিন তাহ্তী
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমি প্রার্থনা করছি তামার কাছে ক্ষমার এবং আমার দ্বীন , দুনিয়া, পরিবার-পরিজন এবং স¤পদের নিরাপত্তা। হে আল্লাহ আমার গোপন বিষয় সমূহকে ঢেকে রাখ এবং আমাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপত্তা দান কর । হে আল্লাহ তুমি আমাকে হেফাযত কর আমার সম্মুখ থেকে, পিছন থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকে এবং উপর দিক থেকে। আর আমি ধ্বসের অতল গহববে নিমজ্জিত হওয়া থেকে তোমার মহাত্ম্যর অসীলায় পরিত্রান চাচছি।
اَللّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأرْضِ، عاَلِمَ الغَيْبِ وَالشَّهاَدَةِ، ربَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيْكَهُ، اَشْهَدُ أنْ لاإله إلا أنْتَ، أعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ
نَفْسِيْ، وَشَرِّ الشَّيْطاَنِ وَشِرْكِهِ، وأنْ أقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِيْ سُوْءً، أوْ أجُرُّهُ إلَى مُسْلِمٍ.
(১৮) আল্লা-হুম্মা ফা-তিরাস্ সামা-ওয়াতি ওয়াল্ আরযি,আ-লিমাল্ গাইবি ওয়াশ্ শাহা-দাহ, রব্বা কুল্লি শাইয়িন ওয়া মালীকাহ্।
আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা,আঊযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়া শাররিশ শাইত্বনি ওয়া র্শিকিহ্। ওয়া আন আক্ব তারিফা আলা- নাফসী সূআন্ আও আর্জুরুহু ইলা- মুসলিম।
৪
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আসমান-যমীনের সৃষ্টি কর্তা, তুমি গোপন-প্রকাশ্য সবকিছুই জান। তুমি সকল বস্তুর প্রভূ এবং সব কিছুর মালিক, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তান ও তার শিরকের অনিষ্ট থেকে এবং আশ্রয় কামনা করছি নিজের
উপর অন্যায় করা থেকে বা সে অন্যায় কোন মুসলিমের উপর চাপিয়ে দেয়া থেকে।
اَللّهُمَّ إنَّيْ أسْأَلُكَ عِلْماً ناَفِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
(১৯) আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইল্মানা-ফিআ- ওয়া রিয্ কান ত্বইয়িবা ওয়া আমালান মুতা ক্বাব্বালা-।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি উপকারী বিদ্যা, পবিত্র জীবিকা এবং মাক্ববূল (গ্রহণীয়)
আমলের।
اَللّهُمَّ أنْتَ رَبِّيْ لا إله إلا أنتَ، خَلَقْتَنِيْ وَأناَ عَبْدُكَ، وأناَ على عَهْدِكَ، وَوَعْدِكَ ماَ اسْتَطَعْتُ، أعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ
ماصَنَعْتُ، أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوْءُ بِذَنْبِيْ، فاَغْفِرْ لِيْ فَإنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إلاَّ أنْتَ
( ২০) আল্লাহুম্মা অংতা রব্বী লা-ইলা-হা ইল্লা- আন্তা, খলাক্ব তানী, ওয়া আনা আব্দুকা, ওয়া আনা আলা- আহ্দিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্ব’তু, আঊযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু,আবূউ লাকা বি নি’মাতিকা আ’লাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী,ফাগ্ফিরলী ফাইন্নাহু লা- য়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আংতা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু-প্রতিপালক, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো এবং আমি তোমার বান্দা। আমি সাধ্যানুসারে তোমার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর কায়েম রয়েছি। আমার কৃত কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি, আমার প্রতি তোমার নেয়ামত স্বীকার করছি এবং তোমার দরবারে আমার পাপকর্মেরও স্বীকারোক্তি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমায় ক্ষমা কর, কেননা তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।
اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى محمدٍ وَعَلَى آلِ مُحمدٍ كَماَ صَلَّيْتَ على إبْراَهِيْمَ وَ على آلِ إبراهيمَ إنَّكَ حَميدٌ مجيدٌ
(২১) আল্লাহুম্মা সল্লি আলা- মুহাম্মাদিঁও ওয়া আলা- আ-লি মুহাম্মাদ, কামা- সল্লাইতা আলা- ইবরা-হীমা ওয়া আলা-
আ-লি ইবরা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজী।দ- (দশ বার(
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি রহমত নাযিল কর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবার বর্গের উপর,
যেমন তুমি রহমত নাযিল করেছো ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিবার বর্গের উপর, নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও
সম্মানিত।
No comments:
Post a Comment