Saturday, May 6, 2017

শিরক: সবচয়েে বড় অপরাধ



মানব জীবনে সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে শিরক। আল্লাহ পাক বলেনঃ

(إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ)

আর্থাৎ, নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অপরাধ।(সূরা লোক্বমান; ১৩)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করা হলো, সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন,“ তুমি কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করবে; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।”(বুখারী ও মুসলিম)

মূলত শিরক হল তাওহীদের পরিপন্থি বিষয়, এ জন্য শিরকের আলোচনার পূর্বে তাওহীদ বা আল্লাহ পাকের একত্ববাদ নিয়ে সম্যক আলোচনা করাটা সমীচীন মনে করছি, যাতে করে শিরকের বিষয়টা আমাদের সামনে পরিস্কার হয়ে যায়।

তাওহীদ সম্পর্কে আলোচনা

তিনটি বিষয়ে যারা আল্লাহ পাকের একত্ববাদকে মেনে নেবে তাদেরকে তাওহীদের প্রকৃত অনুসারী হিসাবে গণ্য করা যায়।

উল্লেখিত তিনটি বিষয়ের প্রথমটি হচ্ছে- আল্লাহ পাককে রব (প্রতিপালক) হিসেবে মেনে নেওয়া। আল্লাহ পাককে রব হিসেবে মেনে নেওয়ার অর্থ হচ্ছে বিশ্ব জাহান পরিচালনার সকল কর্মকান্ডে আল্লাহ পাকের একক কর্তৃত্ব মেনে নেওয়া। যেমন, সৃষ্টি করা, রিযিক দেয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি।

উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যে আল্লাহ পাককে একক মানার নাম হচ্ছে তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ।

উল্লেখিত কোন বৈশিষ্ট্যে কাউকে সমকক্ষ মনে করা, অথবা উল্লেখিত কোন বৈশিষ্ট্যকে তিনি ব্যতীত অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত করার নাম হলো আল্লাহর রুবুবিয়্যাতে শিরক করা। এ সমস্ত শিরক হল বড় শিরকের অন্তর্র্ভুক্ত।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে- আল্লাহ পাককে ইলাহ হিসাবে মেনে নেওয়া। আল্লাহ পাককে ইলাহ হিসেবে মেনে নেওয়ার অর্থ হলো, একমাত্র তাকেই এবাদতের যোগ্য মনে করা। যেমন, নামাজ, রোজা, মানত-নযর, দান-সদকা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি এবাদত সমূহ একমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করা। আল্লাহর উলূহিয়্যাতের বৈশিষ্ট্যে কাউকে সমকক্ষ মনে না করা, এমনকি উল্লেখিত বৈশিষ্টে কাউকে সম্পর্কযুক্ত না করার নামই হলো তাওহিদুল উলূহিয়্যাহ। আল্লাহর উলূহিয়্যাতের বৈশিষ্টে কাউকে সমকক্ষ মনে করাকে শরীয়তের পরিভাষায় উলূহিয়্যাতের ক্ষেত্রে শিরক বলা হয়। জানা আবশ্যক যে এ প্রকারের শিরকও বড় শিরকের  অন্তর্ভুক্ত।

 তৃতীয়টি হল, মহান আল্লাহ তাআলার যে সমস্ত সুন্দর নাম আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে  সেগুলো কোন প্রকার পরিবর্তন ছাড়াই আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা এবং অন্য কাউকে এসমস্ত নামে না ডাকা।

 মহান আল্লাহ পাকের নামাবলী ও গুণাবলীতে কোন সৃষ্টিকে তাঁর সমকক্ষ না করার নাম হল তাওহিদুল আসমা ওয়াসসিফাত। আর মহান আল্লাহ পাকের নামসমূহ ও গুণাবলী কোন সৃষ্টির জন্য সাব্যস্ত করাকে আল্লাহ পাকের নাম ও গুণের মধ্যে শিরক বলে। আর আল্লাহ পাকের গুণাবলীতে কাউকে শরীক করাটাও বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

শিরক সম্পর্কে আলোচনা

শিরকের শাব্দিক অর্থ হল, শরিক করা। আর সাধারণ অর্থে গায়রুল্লাহকে আল্লাহ পাকের বৈশিষ্ট্যের সমকক্ষ করা বা আল্লাহর পাশাপাশি গায়রল্লাহকে উপাস্য ও মান্যবর হিসেবে গ্রহণ করা।

 সার কথা হচ্ছে আল্লাহ তাআলাকে সৃষ্টিকর্তা, পালণকর্তা, রিযিকদাতা, ভাগ্যবিধাতা এবং সর্বময়ক্ষমতার একক অধিপতি এবং একমাত্র উপাসক হিসাবে মনে না করাকে শিরক বলে। অতএব শিরক হচ্ছে অংশিদারিত্ব আর এ অংশিদারিত্ব হচ্ছে আল্লাহ পাকের  উলূহিয়্যাহাত,রুবুবিয়্যাত এবং সিফাতের ক্ষেত্রে কাউকে তাঁর সমকক্ষ মনে করা- অথাৎ সৃষ্টির ছোট-বড় কোন বস্তু যেমন গ্রহ, নক্ষত্র, বা নবী অলী- দরবেশ বা কোন নেক মানুষকে আল্লাহর সাথে পূর্ণ বা আংশিক সাহায্যকারী মনে করা অর্থাৎ আল্লাহর জ্ঞান, তাঁর বরত্ব, মহত্ব ও সৌন্দর্যের যাবতীয় গুণাবলীর ক্ষেত্রে সৃষ্টি জগতের কাউকে তাঁর সমকক্ষ মনে করাই হচ্ছে শিরক।

অন্য কথায় এমন বিশ্বাস, কাজ, কথা ও অভ্যাস কে শিরক বলা হয় যার দ্বারা বাহ্যত মহান আল্লাহ পাকের রুবুবিয়্যাত,উলূহিয়্যাত ও গুণাবলীতে অপর কারো অংশিদারিত্ব বা সমকক্ষতা প্রতীয়মান হয়।

শির্কের প্রকার ভেদ

 শির্ক প্রথমত দুই প্রকার যথা- (১) বড় শিরক (২) ছোট শিরক।

বড় শিরক আবার কয়েক প্রকারে বিভক্ত যথা-(ক) দুয়া ও প্রার্থনায় শিরক করা।

 দোয়া একটি সতন্ত্র এবাদাত যা প্রতিটি মুসলমান করতে পারে, এবং এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাকের ওয়াদাও রয়েছে যে, তোমরা আমার কাছে দোয়া কর আমি কবুল করবো। এ ওয়াদা থাকা সত্বেও কেউ যদি এ মনোভাব নিয়ে মাজারে যায় যে সেখানে গিয়ে দোয়া করলে আমার মনের আশা পূরণ হবে, আমার ব্যাবসা-বাণিজ্য ভাল হবে,বালা মুসীবাত দূর হবে, আমার ছেলে হবে তাহলে এটা হবে দোয়ার ক্ষেত্রে শিরক।

(খ) নিয়ত,ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে শিরক। যেমন, গায়রুল্লার উদ্দেশ্যে সৎ আমল সম্পদনা করা

(গ) হুকুম পালনের ক্ষেত্রে শিরক। যেমন, আল্লাহর হারামকৃত বস্তুকে হালাল অথবা হালালকৃত বস্তুকে হারাম করার ক্ষেত্রে কোন মানুষের কথার অনুসরণ করা।

(ঘ) ভালবাসায় শিরক। এর উদাহরণ হচ্ছে আল্লাহ কে যেভাবে ভালবাসতে হবে সেভাবে  অন্য কাউকে ভাল বাসা।

 ছোট শিরক প্রধানত দুইপ্রকার যথা প্রকাশ্য ও গোপনীয়

প্রকাশ্য ছোট শিরক কথার দ্বারাও হতে পারে আবার কাজের দ্বারাও হতে পারে।

(ক) কথার দ্বার যে সব ছোট শিরক হয় তার উদাহরণ হচ্ছে, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করা। অথবা এরূপ বলা যে আল্লাহ যা চায় এবং আপনি যা চান। অথবা এমন বলা যে অমুক লোক না থাকলে উপকৃত হতামনা, ইত্যাদি।

(খ) প্রকাশ্য ছোট শিরক যা কর্মের মাধ্যমে হয় তার উদাহরণ হচ্ছে, বিপদ মুক্তির জন্য বা বিপদ থেকে বাঁচার জন্য বা বদনজর থেকে রক্ষার জন্য রিং, পৈতা,সূতা, শরীরে বাঁধা। পাখি উড়িয়ে, হাতের রেখা দেখে, কোন নামের মাধ্যমে বা কথার মাধ্যমে বা স্থানের মাধ্যমে কুলক্ষণ নির্ধারণ করা ইত্যাদি

এবার গোপন ছোট শিরক নিয়ে আলোচনা করছি। বলাবাহুল্য যে গোপন ছোট শিরক গুলো  চর্মচোখে ধরা পড়েনা। এগুলো অন্তরের লুকায়িত বিষয় যেমন, নিয়ত, সংকল্প ও উদ্দেশ্যের মধ্যে শিরক। রিয়া ও সুমআ’ অর্থাৎ মানুষকে দেখানোর নিয়তে ও প্রশংসা শোনার উদ্দেশ্যে  কোন নেক আমল করা হচ্ছে এক ধরণের গোপন শিরক।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদের উপর সবচেয়ে ভয়ানক যে বিষয়ের আশংকা করছি, তা হলো শিরকে আসগার  (ছোট শিরক)। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল, ছোট শিরক কি? তিনি বললেনঃ রিয়া, কপটতা অর্থাৎ মানুষকে দেখানোর জন্য বা মানুষের প্রশংসা শোনার উদ্দেশ্যে যে আমল করা হয় তাকে “রিয়া” বলে।

বড় শিরক ও ছোট শিরকের মধ্যে পার্থক্য

*বড় শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি হুকুম হচ্ছে,  সে দুনিয়াতে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং আখেরাতে চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ

(إن الله لا يغفر أن يشرك به ويغفر ما دون ذلك لمن يشاء) অর্থঃ নিশ্চয় আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে।এ ছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন।(সূরা আন-নিসা; ১১৬)

*আর ছোট শিরকে লিপ্ত হলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়না।

*বড় শিরকে লিপ্ত ব্যক্তির সমস্ত আমল ধ্বংস হয়ে যায়,* কিন্তু ছোট শিরকে লিপ্ত ব্যক্তির শুধু সংশ্লিষ্ট আমলই ধ্বংস হয়ে যায়,বাকি সব আমল ঠিক থাকে।



রিয়ার অশুভ  পরিণতি এবং তজ্জন্যে হাদীসের কঠোর সতর্কবাণী

হযরত মাহমুদ ইবনে লাবীদ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের সম্পর্কে যে বিষয়ে সর্বাধিক আশংকা করি, তা হচ্ছে ছোট শিরক। সাহাবায়ে কেরাম বললেনঃ হে আল্লাহ রসূল ছোট শিরক কি? তিনি বললেনঃ রিয়া। ( মুসনাদে আহমদ) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমি শরীকদের সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উর্ধে। যে ব্যক্তি কোন সৎ কর্ম করে এবং তাতে আমার সাথে অন্যকেও শরীক করে , আমি সেই আমল শরীকের জন্য ছেড়ে দেই। অন্য এক রেওয়াতে রয়েছে,আমি সেই আমল থেকে মুক্ত। সে আমলকে খাঁটিভাবে আমি তার জন্যেই করে দেই, যাকে সে আমার সাথে শরীক করেছিল।(মুসলিম)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি সুখ্যাতি লাভের জন্যে সৎকর্ম করে আল্লাহ তাআলাও তার সাথে এমনি ব্যবহার করেন যার ফলে সে ঘৃণিত ও লঞ্ছিত হয়ে যায়। (আহমদ,বায়হাকী,মাজহারী)

তাফসীরে কুরতুবীতে আছে, হযরত হাসান বসরী (রহ) কে এখলাস ও রিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ এখলাস অর্থ হচ্ছে সৎ ও ভাল কর্মের গোপনীয়তা পছন্দ করা এবং মন্দ কর্মের গোপনীয়তা পছন্দ না করা। এরপর যদি আল্লাহ তাআলা তোমর আমল মানুষের কাছে প্রকাশ করে দেন,তবে তুমি একথা বলঃ হে আল্লাহ! এটা আপনার অনুগ্রহ ও কৃপা;আমার কর্ম ও প্রচেষ্টার ফল নয়।

হাকীম তিরমিজী (রহ) হযরত আবুবকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিরকের আলোচনা প্রসঙ্গে বললেনঃ

 (هو أخفى فيكم من دبيب النمل)

অথাৎ, পিঁপড়ার নিঃশব্দ গতির মতই শিরক তোমাদের মধ্যে গোপনে অনুপ্রবেশ করে। তিনি আরও বললেনঃ আমি তোমাদেরকে একটি উপায় বলে দিচ্ছি যা করলে তোমরা বড় শিরক থেকে ও ছোট শিরক (অর্থাৎ রিয়া) থেকে নিরাপদ থাকতে পারবে। তোমরা দৈনিক তিনবার এই দোয়া পাঠ কর।

 اللهم إني أعوذ بك أن أشرك بك وأنا أعلم ، وأستغفرك لما لا أعلم أعلم- ثلاث مرات "

(আল-আদাবুল মুফরাদ)

আসুন, আমরা সকলে ঈমানী দায়িত্ব পালন করি। মানুষকে শিরক মুক্ত ঈমানের দাওয়াতের উদ্দেশ্যে নি¤েœাক্ত বিষয়গুলো প্রচার করি-

(১) নবী ও ওলীদেরকে মহান আল্লাহ পাকের বৈশিষ্ট্যের সমকক্ষ না করি।

(২) মাজার ও কবরে নযর-মানত না করি।

(৩) মাজার ও কবরে গিয়ে মাজার ও কবর মুখী হয়ে দোয়া না করি।

(৪) পীর মাশায়েখ ও আলেম ওলামাদের সম্মান করার ক্ষেত্রে মহানবীর আদর্শ অবলম্বন করি। (৫) পীরের হাতে সবকিছু-এমন আক্বীদা-বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকি।

(৬) বিপদাপদ-বালামুছীবাতে, রিং, পৈতা,সূতা,শরীরে বাঁধা থেকে দূরে থাকি।

(৭) শরীয়ত পরিপন্থী ঝারফুঁক থেকে বেঁচে থাকি।

(৮) হাদীস শরীফে বর্ণিত দোয়া, আমলে আনার চেষ্টা করি।

(৯) গণক ও জোতির্বিদদের নিকট গমণ থেকে দূরে থাকি।

(১০) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানতেন এ-আক্বীদা-বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকি।

(১১) রাত্রে টাকা-পয়সা হাওলাত অথবা দোকানপাট ঝারু দেয়ার পূর্বে টাকা-পয়সা দিলে বরকত কমে যায় এমন বিশ্বাস না কির।

(১২) রাষ্টীয় ক্ষমতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দেশের জনগণকে সকল ক্ষমতার মালিক বলে মনে না করি।

(১৩) কোন ভাস্কর্য ও স্মৃতিসৌধকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য নিরবে দাঁড়িয়ে না থাকি।

(১৪) জীবজন্তু ও পশু-পাখির দ্বারা ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই বাছাই না করি এবং তাদের আওয়াজ থেকে অমঙ্গল ও কুলক্ষণ নির্ণয় না করি।




গরপগ

শরিকঃ সবচয়েে বড় অপরাধ

মানব জীবনে সবচয়েে বড় গুনাহ হচ্ছে শরিক। আল্লাহ পাক বলনেঃ

(إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ)

র্আথাৎ, নশ্চিয় শরিক হচ্ছে সবচয়েে বড় অপরাধ।(সূরা লোক্বমান; ১৩)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করা হলো, সবচয়েে বড় গুনাহ কোনট?ি তনিি বললনে, তুমি কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নর্ধিারণ করব;ে অথচ তনিি তোমাকে সৃষ্টি করছেনে।(বুখারী ও মুসলমি)

মূলত শরিক হল তাওহীদরে পরপিন্থি বষিয়, এ জন্য শরিকরে আলোচনার র্পূবে তাওহীদ বা আল্লাহ পাকরে একত্ববাদ নয়িে সম্যক আলোচনা করাটা সমীচীন মনে করছ,ি যাতে করে শরিকরে বষিয়টা আমাদরে সামনে পরস্কিার হয়ে যায়।

তাওহীদ সর্ম্পকে আলোচনা

তনিটি বষিয়ে যারা আল্লাহ পাকরে একত্ববাদকে মনেে নবেে তাদরেকে তাওহীদরে প্রকৃত অনুসারী হসিাবে গণ্য করা যায়।

উল্লখেতি তনিটি বষিয়রে প্রথমটি হচ্ছ-ে আল্লাহ পাককে রব (প্রতপিালক) হসিবেে মনেে নওেয়া। আল্লাহ পাককে রব হসিবেে মনেে নওেয়ার র্অথ হচ্ছে বশ্বি জাহান পরচিালনার সকল র্কমকান্ডে আল্লাহ পাকরে একক র্কতৃত্ব মনেে নওেয়া। যমেন, সৃষ্টি করা, রযিকি দয়ো, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদ।ি

উল্লখেতি বশৈষ্ট্যিে আল্লাহ পাককে একক মানার নাম হচ্ছে তাওহীদুর রুবুবয়্যিাহ।

উল্লখেতি কোন বশৈষ্ট্যিে কাউকে সমকক্ষ মনে করা, অথবা উল্লখেতি কোন বশৈষ্ট্যিকে তনিি ব্যতীত অন্যরে সাথে সর্ম্পকযুক্ত করার নাম হলো আল্লাহর রুবুবয়্যিাতে শরিক করা। এ সমস্ত শরিক হল বড় শরিকরে অর্র্ন্তভুক্ত।

দ্বতিীয়টি হচ্ছ-ে আল্লাহ পাককে ইলাহ হসিাবে মনেে নওেয়া। আল্লাহ পাককে ইলাহ হসিবেে মনেে নওেয়ার র্অথ হলো, একমাত্র তাকইে এবাদতরে যোগ্য মনে করা। যমেন, নামাজ, রোজা, মানত-নযর, দান-সদকা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি এবাদত সমূহ একমাত্র আল্লাহ পাকরে সন্তুষ্টি র্অজনরে জন্যই করা। আল্লাহর উলূহয়্যিাতরে বশৈষ্ট্যিে কাউকে সমকক্ষ মনে না করা, এমনকি উল্লখেতি বশৈষ্টিে কাউকে সর্ম্পকযুক্ত না করার নামই হলো তাওহদিুল উলূহয়্যিাহ। আল্লাহর উলূহয়্যিাতরে বশৈষ্টিে কাউকে সমকক্ষ মনে করাকে শরীয়তরে পরভিাষায় উলূহয়্যিাতরে ক্ষত্রেে শরিক বলা হয়। জানা আবশ্যক যে এ প্রকাররে শরিকও বড় শরিকরে  অর্ন্তভুক্ত।

 তৃতীয়টি হল, মহান আল্লাহ তাআলার যে সমস্ত সুন্দর নাম আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম র্কতৃক র্বণতি হয়ছেে  সগেুলো কোন প্রকার পরর্বিতন ছাড়াই আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা এবং অন্য কাউকে এসমস্ত নামে না ডাকা।

 মহান আল্লাহ পাকরে নামাবলী ও গুণাবলীতে কোন সৃষ্টকিে তাঁর সমকক্ষ না করার নাম হল তাওহদিুল আসমা ওয়াসসফিাত। আর মহান আল্লাহ পাকরে নামসমূহ ও গুণাবলী কোন সৃষ্টরি জন্য সাব্যস্ত করাকে আল্লাহ পাকরে নাম ও গুণরে মধ্যে শরিক বল।ে আর আল্লাহ পাকরে গুণাবলীতে কাউকে শরীক করাটাও বড় শরিকরে অর্ন্তভুক্ত।

শরিক সর্ম্পকে আলোচনা

শরিকরে শাব্দকি র্অথ হল, শরকি করা। আর সাধারণ র্অথে গায়রুল্লাহকে আল্লাহ পাকরে বশৈষ্ট্যিরে সমকক্ষ করা বা আল্লাহর পাশাপাশি গায়রল্লাহকে উপাস্য ও মান্যবর হসিবেে গ্রহণ করা।

 সার কথা হচ্ছে আল্লাহ তাআলাকে সৃষ্টর্কিতা, পালণর্কতা, রযিকিদাতা, ভাগ্যবধিাতা এবং র্সবময়ক্ষমতার একক অধপিতি এবং একমাত্র উপাসক হসিাবে মনে না করাকে শরিক বল।ে অতএব শরিক হচ্ছে অংশদিারত্বি আর এ অংশদিারত্বি হচ্ছে আল্লাহ পাকরে  উলূহয়্যিাহাত,রুবুবয়্যিাত এবং সফিাতরে ক্ষত্রেে কাউকে তাঁর সমকক্ষ মনে করা- অথাৎ সৃষ্টরি ছোট-বড় কোন বস্তু যমেন গ্রহ, নক্ষত্র, বা নবী অলী- দরবশে বা কোন নকে মানুষকে আল্লাহর সাথে র্পূণ বা আংশকি সাহায্যকারী মনে করা র্অথাৎ আল্লাহর জ্ঞান, তাঁর বরত্ব, মহত্ব ও সৌর্ন্দযরে যাবতীয় গুণাবলীর ক্ষত্রেে সৃষ্টি জগতরে কাউকে তাঁর সমকক্ষ মনে করাই হচ্ছে শরিক।

অন্য কথায় এমন বশ্বিাস, কাজ, কথা ও অভ্যাস কে শরিক বলা হয় যার দ্বারা বাহ্যত মহান আল্লাহ পাকরে রুবুবয়্যিাত,উলূহয়্যিাত ও গুণাবলীতে অপর কারো অংশদিারত্বি বা সমকক্ষতা প্রতীয়মান হয়।

শর্কিরে প্রকার ভদে

 শর্কি প্রথমত দুই প্রকার যথা- (১) বড় শরিক (২) ছোট শরিক।

বড় শরিক আবার কয়কে প্রকারে বভিক্ত যথা-(ক) দুয়া ও র্প্রাথনায় শরিক করা।

 দোয়া একটি সতন্ত্র এবাদাত যা প্রতটিি মুসলমান করতে পার,ে এবং এক্ষত্রেে মহান আল্লাহ পাকরে ওয়াদাও রয়ছেে য,ে তোমরা আমার কাছে দোয়া কর আমি কবুল করবো। এ ওয়াদা থাকা সত্বওে কউে যদি এ মনোভাব নয়িে মাজারে যায় যে সখোনে গয়িে দোয়া করলে আমার মনরে আশা পূরণ হব,ে আমার ব্যাবসা-বাণজ্যি ভাল হব,েবালা মুসীবাত দূর হব,ে আমার ছলেে হবে তাহলে এটা হবে দোয়ার ক্ষত্রেে শরিক।

(খ) নয়িত,ইচ্ছা ও উদ্দশ্যেরে ক্ষত্রেে শরিক। যমেন, গায়রুল্লার উদ্দশ্যেে সৎ আমল সম্পদনা করা

(গ) হুকুম পালনরে ক্ষত্রেে শরিক। যমেন, আল্লাহর হারামকৃত বস্তুকে হালাল অথবা হালালকৃত বস্তুকে হারাম করার ক্ষত্রেে কোন মানুষরে কথার অনুসরণ করা।

(ঘ) ভালবাসায় শরিক। এর উদাহরণ হচ্ছে আল্লাহ কে যভোবে ভালবাসতে হবে সভোবে  অন্য কাউকে ভাল বাসা।

 ছোট শরিক প্রধানত দুইপ্রকার যথা প্রকাশ্য ও গোপনীয়

প্রকাশ্য ছোট শরিক কথার দ্বারাও হতে পারে আবার কাজরে দ্বারাও হতে পার।ে

(ক) কথার দ্বার যে সব ছোট শরিক হয় তার উদাহরণ হচ্ছ,ে আল্লাহ ছাড়া অন্যরে নামে শপথ করা। অথবা এরূপ বলা যে আল্লাহ যা চায় এবং আপনি যা চান। অথবা এমন বলা যে অমুক লোক না থাকলে উপকৃত হতামনা, ইত্যাদ।ি

(খ) প্রকাশ্য ছোট শরিক যা র্কমরে মাধ্যমে হয় তার উদাহরণ হচ্ছ,ে বপিদ মুক্তরি জন্য বা বপিদ থকেে বাঁচার জন্য বা বদনজর থকেে রক্ষার জন্য রংি, পতৈা,সূতা, শরীরে বাঁধা। পাখি উড়য়ি,ে হাতরে রখো দখে,ে কোন নামরে মাধ্যমে বা কথার মাধ্যমে বা স্থানরে মাধ্যমে কুলক্ষণ নর্ধিারণ করা ইত্যাদি

এবার গোপন ছোট শরিক নয়িে আলোচনা করছ।ি বলাবাহুল্য যে গোপন ছোট শরিক গুলো  র্চমচোখে ধরা পড়নো। এগুলো অন্তররে লুকায়তি বষিয় যমেন, নয়িত, সংকল্প ও উদ্দশ্যেরে মধ্যে শরিক। রয়িা ও সুমআ’ র্অথাৎ মানুষকে দখোনোর নয়িতে ও প্রশংসা শোনার উদ্দশ্যেে  কোন নকে আমল করা হচ্ছে এক ধরণরে গোপন শরিক।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলনে, আমি তোমাদরে উপর সবচয়েে ভয়ানক যে বষিয়রে আশংকা করছ,ি তা হলো শরিকে আসগার  (ছোট শরিক)। সাহাবায়ে করোম আরজ করলনেঃ হে আল্লাহর রসূল, ছোট শরিক ক?ি তনিি বললনেঃ রয়িা, কপটতা র্অথাৎ মানুষকে দখোনোর জন্য বা মানুষরে প্রশংসা শোনার উদ্দশ্যেে যে আমল করা হয় তাকে “রয়িা” বল।ে

বড় শরিক ও ছোট শরিকরে মধ্যে র্পাথক্য

*বড় শরিকে লপ্তি ব্যক্তি হুকুম হচ্ছ,ে  সে দুনয়িাতে ইসলাম থকেে বরে হয়ে যাবে এবং আখরোতে চরিকাল জাহান্নামে অবস্থান করব।ে মহান আল্লাহ পাক বলনেঃ

(إن الله لا يغفر أن يشرك به ويغفر ما دون ذلك لمن يشاء) র্অথঃ নশ্চিয় আল্লাহ ঐ ব্যক্তকিে ক্ষমা করনে না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক কর।েএ ছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করনে।(সূরা আন-নসিা; ১১৬)

*আর ছোট শরিকে লপ্তি হলে সে ইসলাম থকেে বরে হয়ে যায়না।

*বড় শরিকে লপ্তি ব্যক্তরি সমস্ত আমল ধ্বংস হয়ে যায়,* কন্তিু ছোট শরিকে লপ্তি ব্যক্তরি শুধু সংশ্লষ্টি আমলই ধ্বংস হয়ে যায়,বাকি সব আমল ঠকি থাক।ে



রয়িার অশুভ  পরণিতি এবং তজ্জন্যে হাদীসরে কঠোর সর্তকবাণী

হযরত মাহমুদ ইবনে লাবীদ (রাঃ) বলনে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেনেঃ আমি তোমাদরে সর্ম্পকে যে বষিয়ে র্সবাধকি আশংকা কর,ি তা হচ্ছে ছোট শরিক। সাহাবায়ে করোম বললনেঃ হে আল্লাহ রসূল ছোট শরিক ক?ি তনিি বললনেঃ রয়িা। ( মুসনাদে আহমদ) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলনে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেনেঃ য,ে আল্লাহ তাআলা বলনেঃ আমি শরীকদরে সাথে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার র্উধ।ে যে ব্যক্তি কোন সৎ র্কম করে এবং তাতে আমার সাথে অন্যকওে শরীক করে , আমি সইে আমল শরীকরে জন্য ছড়েে দইে। অন্য এক রওেয়াতে রয়ছে,েআমি সইে আমল থকেে মুক্ত। সে আমলকে খাঁটভিাবে আমি তার জন্যইে করে দইে, যাকে সে আমার সাথে শরীক করছেলি।(মুসলমি)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনছেনে, যে ব্যক্তি সুখ্যাতি লাভরে জন্যে সৎর্কম করে আল্লাহ তাআলাও তার সাথে এমনি ব্যবহার করনে যার ফলে সে ঘৃণতি ও লঞ্ছতি হয়ে যায়। (আহমদ,বায়হাকী,মাজহারী)

তাফসীরে কুরতুবীতে আছ,ে হযরত হাসান বসরী (রহ) কে এখলাস ও রয়িা সর্ম্পকে প্রশ্ন করা হলে তনিি বলনেঃ এখলাস র্অথ হচ্ছে সৎ ও ভাল র্কমরে গোপনীয়তা পছন্দ করা এবং মন্দ র্কমরে গোপনীয়তা পছন্দ না করা। এরপর যদি আল্লাহ তাআলা তোমর আমল মানুষরে কাছে প্রকাশ করে দনে,তবে তুমি একথা বলঃ হে আল্লাহ! এটা আপনার অনুগ্রহ ও কৃপা;আমার র্কম ও প্রচষ্টোর ফল নয়।

হাকীম তরিমজিী (রহ) হযরত আবুবকর সদ্দিীক (রাঃ) থকেে র্বণনা করছেনে য,ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরিকরে আলোচনা প্রসঙ্গে বললনেঃ

 (هو أخفى فيكم من دبيب النمل)

অথাৎ, পঁিপড়ার নঃিশব্দ গতরি মতই শরিক তোমাদরে মধ্যে গোপনে অনুপ্রবশে কর।ে তনিি আরও বললনেঃ আমি তোমাদরেকে একটি উপায় বলে দচ্ছিি যা করলে তোমরা বড় শরিক থকেে ও ছোট শরিক (র্অথাৎ রয়িা) থকেে নরিাপদ থাকতে পারব।ে তোমরা দনৈকি তনিবার এই দোয়া পাঠ কর।

 اللهم إني أعوذ بك أن أشرك بك وأنا أعلم ، وأستغفرك لما لا أعلم أعلم- ثلاث مرات "

(আল-আদাবুল মুফরাদ)

আসুন, আমরা সকলে ঈমানী দায়ত্বি পালন কর।ি মানুষকে শরিক মুক্ত ঈমানরে দাওয়াতরে উদ্দশ্যেে ন¤িœোক্ত বষিয়গুলো প্রচার কর-ি

(১) নবী ও ওলীদরেকে মহান আল্লাহ পাকরে বশৈষ্ট্যিরে সমকক্ষ না কর।ি

(২) মাজার ও কবরে নযর-মানত না কর।ি

(৩) মাজার ও কবরে গয়িে মাজার ও কবর মুখী হয়ে দোয়া না কর।ি

(৪) পীর মাশায়খে ও আলমে ওলামাদরে সম্মান করার ক্ষত্রেে মহানবীর আর্দশ অবলম্বন কর।ি

(৫) পীররে হাতে সবকছিু-এমন আক্বীদা-বশ্বিাস থকেে বঁেচে থাক।ি

(৬) বপিদাপদ-বালামুছীবাত,ে রংি, পতৈা,সূতা,শরীরে বাঁধা থকেে দূরে থাক।ি

(৭) শরীয়ত পরপিন্থী ঝারফুঁক থকেে বঁেচে থাক।ি

(৮) হাদীস শরীফে র্বণতি দোয়া, আমলে আনার চষ্টো কর।ি

(৯) গণক ও জোতর্বিদিদরে নকিট গমণ থকেে দূরে থাক।ি

(১০) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়বে জানতনে এ-আক্বীদা-বশ্বিাস থকেে বঁেচে থাক।ি

(১১) রাত্রে টাকা-পয়সা হাওলাত অথবা দোকানপাট ঝারু দয়োর র্পূবে টাকা-পয়সা দলিে বরকত কমে যায় এমন বশ্বিাস না করি।

(১২) রাষ্টীয় ক্ষমতা প্রাপ্তরি ক্ষত্রেে দশেরে জনগণকে সকল ক্ষমতার মালকি বলে মনে না কর।ি

(১৩) কোন ভার্স্কয ও স্মৃতসিৌধকে সম্মান প্রর্দশনরে জন্য নরিবে দাঁড়য়িে না থাক।ি

(১৪) জীবজন্তু ও পশু-পাখরি দ্বারা ভাগ্যরে ভাল-মন্দ যাচাই বাছাই না করি এবং তাদরে আওয়াজ থকেে অমঙ্গল ও কুলক্ষণ নর্ণিয় না কর।ি




No comments:

Post a Comment

শবে বরাত- কিছু ভ্রান্তি নিরসন..

........................................ (শবে বরাত কোথায় আর আমরা কোথায়!) ....................................................... ইস...

Clock